ভিনগ্রহের পর্যটক
আমরা পৃথিবীর মানুষ। আমরা অনেক কিছুই করতে পারি না, তা বুঝলাম সেদিনের কেকেরেও নামের লোকটি কে দেখার পর। তিনি নাকি ভিন গ্রহের লোক। আচ্ছা গল্পটা প্রথম থেকেই শুরু করি।
সেদিন রাত্রে আমি অফিস থেকে ফিরছিলাম। রাত্রে অফিস থেকে ফিরতে একটু দেরি হল। সেদিন আর রাস্তায় গাড়ি পেলাম না। গ্রামের রাস্তায় গাড়ি না থাকলে হেঁটেই যাইতে হয়, তা হয়তো অনেকে জানেন।
আকাশে চাঁদ উঠেছে একটু আলোয় রাস্তা বোঝা যায় এবং সামনের কোন বস্তুকে বোঝা যায়। এমন অবস্থায় আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিছুদূর যেতেই সেই কুকুরটার সাথে দেখা হলো, যে প্রায়ই আমাকে জঙ্গলের সামন পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। তারপর সে আবার চলে যায়। আমি প্রায় হেঁটেই বাড়ি যাই, কারণ বেশি রাত হলেই গ্রামের রাস্তায় আর কোনো গাড়ি থাকে না। অনেক দূরে একটি দুটি মানুষকে দেখা যায়। যাই হোক, কুকুরটা আজকেও আমাকে জঙ্গলের সামন পর্যন্ত পৌঁছে দিল। তারপর সে এখন চলে যাবে আমি বললাম চলে যাবি সে লেজ ধারালো মানে সে চলে যেতে চাচ্ছে। আমি বললাম যা তাহলে, তারপর সে চলে গেল।
আবার আমি জঙ্গলের রাস্তায় হাটা শুরু করলাম। আমার বাসা জঙ্গল পার হয়ে একটি গ্রাম পার হয়ে তারপর। আমার জঙ্গলের রাস্তায় আর ভয় হয় না আমি প্রায় রাতেই এই ফার রাস্তায় যাই। আজকে কেমন যেন একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে আশেপাশে কাউকে দেখছি না, কোন কিছুর শব্দ পাচ্ছি না, কোন প্রকার যেন আজকে আমার সাথে কথা বলবে না তার মানে আজকে একটু বেশী দেরী হয়ে গেছে। তবুও আমি সামনের রাস্তায় হাটতে থাকলাম কিছু দূরে যেতে তাকে দেখে আমি অবাক। তাকে আবারো একবার ভালো করে দেখে নিলাম তাকে দেখতে তো ভিনগ্রহের লোক বলে মনে হচ্ছে না। সে বললো সত্যিই আমি পৃথিবীর লোক না। আমি বললাম তোমার নাম কি? সে হেসে উত্তর দিলো কেকেরেও।
তার সাথে একটু আগেই আমার দেখা। তার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরপরই আমরা গল্প শুরু করেছিলাম। জানেনই তো গ্রামের রাস্তায় এত রাত্রে একজনের সাথে দেখা। হঠাৎ করে সে বলল জানেন, আমি প্রায় রাতেই এই এলাকায় আছি এই এলাকাটা আমার প্রায় চেনা। আমি বললাম তাই নাকি। সে বলল হ্যাঁ। আমি বললাম আপনিতো পৃথিবীর লোক নন, তাহলে এখানে কেন আসেন? সে বলল এখানে এক ধরনের গাছ আছে যে গাছটা আমাদের অনেক উপকার করে। আমাদের যখন বিশেষ রোগ হয় তখন আমরা তা জানতে পারি এবং এই গাছগুলি কে ব্যবহার করলে আমরা সেই রোগ থেকে বেঁচে যায় এবং আমরা আবারো অনেকদিন বেঁচে থাকি। আমি বললাম তাহলে গাছটি আপনাদের ওখানে নিয়ে রোপন করলেই তো হয়। এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার আমরা কথা বলতেছি একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে যন্ত্রের নাম অনুবাদক যন্ত্র। সে বলল আমাদের গ্রহে এই গাছগুলি হয় না আর আমরা প্রথম যখন জানলাম যে আমার একটি গাছ ব্যবহার করলে আরো অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারব তারপর থেকে আমরা অন্য সব গ্রহে এই গাছের খোঁজ করেছি কিন্তু এই গ্রহ ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে তা পাইনি।
আমি বললাম আপনারা কিভাবে জানলেন যে একটি গাছ ব্যবহার করলে আপনারা আরো অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবেন। সে বলল তাহলে শুনেন এক সময় একজন কেকেরেও এর এই রোগ হওয়ায় যন্ত্রণার কারণে সে ভুল করে এই গ্রহে ঢুকে পড়ে এবং সে এরকম একটি গাছের বাগানের উপর পড়ে এবং সে সঙ্গে সঙ্গে ভালো হয়ে যায় এবং আমাদের গ্রহে চলে আসে। আমরা দেখে অবাক হই, সে তো মারা যাওয়ার কথা সে এখনো জীবিত কেন? তারপর সে সব কথা আমাদের জানায় তখন থেকে কোন কেকেরেও আর মারা যায় নাই সবাই এই গ্রহের সেই গাছ ব্যবহারের জন্য আসে। আমি বললাম তাহলে আমরা তাদেরকে দেখতে পাই না কেন? সে বলল আমাকে দেখুন আমাকে দেখতে কেমন মনে হয়? আমি বললাম একজন মানুষের মত। সে বলল এবার দেখুন আমি আবার দেখলাম তাকে অদ্ভুত দেখতে এ যেন কেমন এক প্রাণী মনে হয় কোন বড় ধরনের দানব। আমি দেখে অনেক ভয় পেয়েছি।
সে বলল আমরা সবাই মানুষের বেশ ধরে এখানে আছি। তারপর সে বলল দেখুন সামনে আপনার বাড়ি আমি দেখলাম সত্যিই তো আমি বাড়িতে পৌছে গেছি। কখন যে আসলাম তা বুঝতেই পারলাম না। সে বলল আপনি বাড়িতে যান আমার এবার ফেরার সময় হয়েছে আমি এখন না গেলে আমি আর আমার গ্রহে ঢুকতে পারবো না তখনো তার হাতে গাছটি ছিল কিন্তু আমি অন্ধকারে গাছটিকে ঠিক চিনতে পারলাম না। আর একটু পরেই আমি তাকেও দেখতে পারলাম না, কারণ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেছে যার ফলে এই সুন্দর গল্পটির শেষ পর্যন্ত আমি উপভোগ করতে পারলাম না
No comments
If you have any doubts. Please let me know..