ইন্টারনেট থেকে আয়ের ৫ টি সেরা উপায়
আসসালামু আলাইকুম,
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আসা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের জানাতে চাই, অনলাইন থেকে সঠিক ভাবে ইনকাম করার ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ উপায়, তো চলুন শুরু করি।
অনলাইন থেকে সত্যি ইনকাম করা যায়, যার উদাহরণ বর্তমানে আপনার পাশেই খোজ নিলে বুঝতে পারবেন। কেউবা ইনকাম করছে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে। কেউবা অনলাইন মার্কেট প্লেসে জব করে ইনকাম করছেন, কেউ ব্লগিং করে ইনকাম করছে কেউ করছে এফেলিয়েট মার্কেট থেকে। কেউবা সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম করছে আবার কেউ করছে ফেসবুক মার্কেটিং তথা ডিজিটাল মার্কেটিং এক কথায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। যার হাজার হাজার প্রমাণ রয়েছে আপনার আশে পাশেই।
বন্ধুরা আমরা জানলাম অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে ইনকাম করবেন?
অনলাইন থেকে সঠিক ভাবে ইনকাম করার ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ উপায়ঃ
- ইউটিউব
- ব্লগিং/ওয়েবসাইট পাবলিসার
- অনলাইন শপিং/ ই-কমারস
- এফেলিয়েট মার্কেটিং/ সিপিএ মার্কেটিং
- অনলাইন মার্কেটিং/ ডিজিটাল মার্কেটিং
১/ ইউটিউব থেকে আয়
ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়। বিশ্বের অনেক মানুষ ইউটিউব থেকে ইনকাম করছে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। ইউটিউবে একাউন্ট খোলা খুব সহজ।আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকলেই হবে।আর যদি একাউন্ট খুলতে না পারেন তাহলে ইউটিউবে দেখে নেবেন।এরপর আপনার কাজ হবে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা।
২/ ব্লগিং/ওয়েবসাইট পাবলিশার
আপনি ব্লগিং করে ও টাকা ইনকাম করতে পারেন। তার জন্য আপনার লেখালেখি করতে হবে আমার মতো। আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালবাসেন তাহলে আপনার জন্য বেস্ট একটা মাধ্যম হতে পারে ব্লগিং। আপনার লেখা জত মানুষ পড়বে তার ঊপর ভিত্তি করে গোগল আপনার ব্লগে আড দেবে যা থেকে আপনার ইনকাম হবে।
৩/ অনলাইন শপিং/ ই-কমারস
শপিং বলতে ঠিক যে চিত্রটি কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠত, তা অনেকটাই বদলে গিয়েছে অতি অল্প সময়ের মধ্যে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে ভার্চুয়াল জগৎ।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে, ভিড় ঠেলে, বেছে বেছে, হাতে নিয়ে এখন আর অনেকেই জিনিসপত্র কেনেন না। কিন্ত তাই বলে কেনাকাটা থেমে থাকে নি। বরং তা চলছে আরো দ্রুত গতিতে। আর এই মাধ্যমটি হল ইন্টারনেট। বই থেকে ব্র্যান্ডেড জুতো, জামা, ইলেকট্রনিক পন্য অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটগুলোতে দেদারে বিক্রয় হচ্ছে। কারন অনলাইন শপিং মানেই সময় ও শক্তির সাশ্রয়। আর এইদিকে ক্রেতা হিসেবে নতুন প্রজন্মই এগিয়ে আছে।
প্রকৃতপক্ষে, অনলাইন শপিং বলতে, বাজার করার সহজ একটি মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আর অনলাইন শপিং এ যে খালি শপিং ই করা হচ্ছে তা নয়। বরং বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে তথ্যও প্রদান করছে। নতুন/ আপডেটেড সব পণ্য, পণ্যের দাম সহ আরো নানা প্রকার তথ্যের সম্মেলন কেন্দ্র হিসেবেও অনলাইন শপিং পরিগনিত হচ্ছে।
৪/ এফেলিয়েট মার্কেটিং/ সিপিএ মার্কেটিং
এফেলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনার মাধ্যমে অনলাইনে কাউকে কিছু কিনে দেওয়া বা কাউকে কোন জায়গায় আপনার মাধ্যমে জইন করানো। আপনার মাধ্যমে যদি কেউ মার্কেট করে তাহলে মার্কেট ওয়ালা আপনাকে সেই প্রোডাক্ট থেকে কিছু পাসেন্ট দেবে। যা থেকে আপনার ইনকাম হবে।
৫/অনলাইন মার্কেটিং/ ডিজিটাল মার্কেটিং
অনলাইন আয় সম্পর্কে যারা শুনেছেন কিন্তু নিজে এখনো কিছু করছেন না তারা কিছু শব্দ সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার ফলে কিছু ভুল ধারনা পোষণ করেন। এর মধ্যে একটি শব্দ হচ্ছে ‘ফ্রিলান্সিং (Freelancing)’. মানুষ কেউ কেউ মনে করেন যে অনলাইন আয়ের যত পথ আছে সবকিছুই ফ্রিল্যান্সিং। আসলে মোটেই তা নয়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে বুঝায় মুক্তভাবে কাজ করা এবং কারো কর্তৃক সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে তার কোন কাজ করে দেওয়া। আর এই ক্ষেত্রে যে কাজটি করিয়ে নিচ্ছে সে করছে আউটসোর্সিং।
এবার আসুন অনলাইন মার্কেটিং। এটি একেবারেই ফ্রিল্যান্সিং এর আওতাভুক্ত কোন কিছু নয়। তবে যদি আপনি কোন ক্লায়েন্টের হয়ে তার কোন এসেট, বিজনেস, পণ্য মার্কেটিং করে থাকেন তাহলে সে আউটসোর্স করছে আর সেই ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র আপনি ফ্রিল্যান্সিং করছেন। তবে যদি নিজের কোন সাইট বা ভিডিও মার্কেটিং করেন যা থেকে আপনি কারো কাজ করা ছাড়া ভিন্ন উপায়ে রেভিনিউ আয় করেন তবে সেটা অনলাইন মার্কেটিং এবং অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং নয়।
যখন আপনি একটা ওয়েবসাইট বা একটা পেইসবুক পেজ করে তার মাধ্যমে কোন ইকমার্স (যেমনঃ অ্যামাজন) সাইটের এক বা একাধিক পণ্য প্রমোট করে সেল হলে কমিশন পাচ্ছেন তখন আপনি যা করছেন তা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে পণ্য হিসেবে কোন সেবাও থাকতে পারে। যেমন, যদি আপনি যদি কোন কম্পানির ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস সেল করে দেন সেটা কিন্তু সেবা।
পরিশেষে এটাই বলবঃ
সিপিএ মার্কেটিং তথা অনলাইন মার্কেটিং তথা অনলাইন আয় এখনো যাদের কাছে রুপকথার গল্প মনে হয় তাদের সম্পর্কে একটি কথাই বলার থাকতে পারে, তারা পত্রিকা পড়ে না অথবা পড়লেও আইটি পাতাতে কখনো চোখ রাখেনা। কারন এখন আর অনলাইনে সফলতার গল্প কিংবা সফলতার কৌশল জাতীয় লেখাগুলো শুধু ব্লগ কিংবা অনলাইন মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়। কারন যেরকম ভাবে আমাদের দেশের চাকুরীর বাজারে হাল পড়ছে তার চেয়ে কয়েকগুণ দ্রুত প্রশস্ত হচ্ছে অনলাইন আয়ের পথ। তাই আগামি প্রজন্ম যদি আইটি জ্ঞান নিয়ে বড় হয় তাহলে তাদের জন্য ক্যারিয়ার যুদ্ধ শব্দটি হবে অজানা আর যদি তা না হয় তাহলে ক্যারিয়ারের খোঁজে তারা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশাকরি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। আশাকরি এখান থেকে আপনারা সিপিএ মার্কেটিং তথা অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ এবং সঠিক ধারনা পাবেন।
আরো ভালোভাবে বুঝার জন্য ভিডিও টি দেখুন
nice tutorial
ReplyDelete