ক্লাস 9 আইসিটি অ্যাসাইনমেন্ট 3
ই-লার্নিং শব্দটি প্রথম বারের মত এলিয়াট মেসি ডিজনি ওয়ার্ল্ড এ সম্মেলনের সময় উল্লেখ করেছিলেন এরপর অহিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিডনি প্রেসি প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক লার্নিং মেশিন তৈরি করেন কিন্তু তারা তারও আগে 1728 সালে কালের ফিলিপস ইমেইলের মাধ্যমে দূরবর্তী লার্নিং কোর্স চালু করেছিলেন এরপর ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হলো অনেক অনলাইন ভিত্তিক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে বর্তমানে অনলাইনে পাঠদানের পাশাপাশি সরকারের যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে
ই-লার্নিং এর সুবিধা সমূহ
বর্তমান প্রযুক্তির বদৌলতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।এর মূল কারণ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা।নিচে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আলোকে ই লার্নিং এর সুবিধা সমূহ তুলে ধরা হলো:
১/ ই-লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।
২/ই-লার্নিং এর মাধ্যমে নতুন নতুন স্কুল তৈরি না করে অনেক ছাত্র-ছাত্রী কে শিক্ষাদান করা সম্ভব।
৩/ই-লার্নিং এর মাধ্যমে প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রী তাদের নিজেদের সুবিধামতো পড়াশোনা করতে পারবে। যে বিষয়ে দুর্বল সে বিষয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে অনলাইনে টিউশন নিতে পারবে এবং সেটাও অনেক কম খরচে।
৪/ই-লার্নিং এর মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সম্পর্কে সহজেই ধারণা পাওয়া যায়।
৫/ই-লার্নিং এর মাধ্যমে একই সাথে একাধিক কর্মকাণ্ড যুক্ত হওয়া সম্ভব। তাই ই লার্নিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম।
ই-লার্নিং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সমূহ
উন্নত দেশগুলোতে ই-লার্নিং এর বাস্তবায়ন বেশি লক্ষ্য করা গেলেও সে অনুপাতে আমাদের দেশে ততটা ই লার্নিং এর বাস্তবায়ন হয়নি। যদিও সরকারি ও বেসরকারি উভয় দিক থেকে এটা নিয়ে কাজ চলছে।বাংলাদেশ সে এখনই লার্নিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে shikkhok.com জাগো অনলাইন স্কুল ইস্ট ওয়েস্ট এবং এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় সহ বহু প্রতিষ্ঠান।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই লার্নিং বাস্তবায়ন অনেকটা কঠিন এবং চ্যালেঞ্জ বটে। কারণ
১/ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সর্বস্তরে নিশ্চিত করা অনেকটা কঠিন।প্রযুক্তির ছোঁয়া সবখানের লাগলে ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সবার হাতে এসে পৌঁছায়নি।তাই সবার আগে সর্বস্তরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
২/ইন্টারনেট ব্যবহারের সহজ লভ্যতা নিশ্চিত করা।যেখানে বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম এবং ফ্রী ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে সেখানে আমাদের দেশে এর ব্যয় অনেকটাই বেশি।
৩/অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকায়ন করা সব ক্ষেত্রে সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ এর জন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
ই-লার্নিং এর মাধ্যমে কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জন
আধুনিক প্রযুক্তির যে শুধু জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করেছে তা কিন্তু নয়, সেইসাথে মানুষের দক্ষতা কি উন্নত করছে। যেমন
১/ই-লার্নিং এর মাধ্যমে যে কেউ খুব কম সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
২/খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ নিয়ে নিজের পছন্দের বিষয় এর উপর দক্ষতা অর্জন করা যায়।
৩/নিজের সীমিত জ্ঞানের পরিধিকে ই লার্নিং এর মাধ্যমে আরও বিস্তৃত করা যায়।
৪/একজন শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান লাভের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে নিজেদের আরও দক্ষ করে তুলতে পারে।
স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে ই-লার্নিং এর সম্ভাবনা
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা সহায়তায় ই-লার্নিং এর প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হলেও করো না পরবর্তী সময়ে ই-লার্নিং আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।কারণ ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের লার্নিং এর মাধ্যমে পাঠদান করা হচ্ছে এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে পারছে অন্যদিকে তাদের পছন্দমত শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে।শুধু গতানুগতিক জ্ঞান লাভের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ শিক্ষিত হতে পারে না তাই বইয়ের পাশাপাশি ই-লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাধিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে যা তাদের উন্নত জীবন গঠনে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া ই লার্নিং এর কোনো শিক্ষার্থী কিছু না বুঝলে পরবর্তীতে সেই লেকচারটি পুনরায় দেখে নিতে পারে। তাই বলা যেতে পারে করো না পরবর্তী সময়ে শিক্ষা সহায়তায় ই লার্নিং এর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসংহার
শিক্ষার আলোকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারতিস অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ঠিক সমপরিমাণ ভূমিকা রাখে ই লার্নিং। যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বস্তরে বিরাজ করছে সেখানে শিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনের রূপান্তর করতে ই লার্নিং এর আরো প্রসার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ই-লার্নিং এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজেকে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে তাছাড়া ই লার্নিং এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে যেমন অর্থ উপার্জন করতে পারে ঠিক তেমনি বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। তাই লার্নিং কে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করা প্রয়োজন।
No comments
If you have any doubts. Please let me know..