স্লিভার কাকে বলে? নাইলনকে নন সেলুলোজিক তন্তু বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
ক) স্লিভার কাকে বলে?
সুতা কাটার দ্বিতীয় ধাপ হলো কার্ডিং ও কম্বিং। কার্ডিং ও কম্বিং করে প্রাপ্ত তন্তু পাতলা আস্তরের মত হয় এবং এটিকে স্লিভার বা স্লাইভার বলে।
খ) নাইলনকে নন সেলুলোজিক তন্তু বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
সেলুলোজ হলো এক ধরনের সূক্ষ্ম আঁশযুক্ত পদার্থ, যা দিয়ে উদ্ভিদ এবং প্রাণী কোষ তৈরি হয়। আর যেসব কৃত্রিম তন্তু সেলুলোজ থেকে তৈরি না করে অন্য পদার্থের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে তৈরি করা হয়, তারাই হল নন সেলুলোজিক তন্তু। এক্ষেত্রে নাইলন তন্তু সেলুলোজ দিয়ে তৈরী নয়। সাধারণত অ্যাডিপিক এসিড এবং হেক্সামিথিলিন ডাই অ্যামিন নামক রাসায়নিক পদার্থের পলিমারকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাইলন তৈরি করা হয়। এজন্য নাইলন কে নন সেলুলোজিক তন্তু বলে।
গ) শান্তর কি ধরনের কাপড় পরা উচিত ছিল ব্যাখ্যা করো।
শান্তর পশম বা উলের পোশাক পরা উচিত ছিল। এর কারণ:
আমরা শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য যে পোশাকের কথা সবার আগে ভাবি, সেটি হচ্ছে পশম বা উলের পোশাক। তাপ কুপরিবাহী বলে পশমী পোশাক শীতবস্ত্র হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয়। উদ্দীপকের শান্ত এমন দুটি শার্ট পড়েছে যা হালকা এবং পাতলা। ফলে তা শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট ছিল না। সে হয়তো ভেবেছিল তিনমাস আগে যখন সে এই ধরনের শার্ট পরতো তখন আরাম অনুভূত করতো। কিন্তু তখন ছিল গরমকাল। এখন শীতকাল হওয়াতে তাকে অবশ্যই গরম পোশাক পরতে হবে। এক্ষেত্রে পশমী বা উলের পোশাক সবচেয়ে জরুরি।
পশমি কাপড় পড়ে থাকলে শীতের দিনে শরীর থেকে তাপ বেরিয়ে যেতে পারে না। তাই এটি গায়ে দিলে শান্ত গরম অনুভব করতো। তাই শান্তর পশমি বা উলের পোশাক পরা উচিত ছিল।
ঘ) উদ্দীপকের আলোকে শান্তর বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করো।
আমাদের পরিবেশ ও এর তাপমাত্রার পার্থক্য উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরতে হয়। জেমন গরমের দিনে আমরা সুতি পোশাক পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমাদের অসস্থি কম হয়। কারণ সুতির তাপ পরিবহন এবং পরিচলন ক্ষমতা বেশি। অন্যদিকে শীতের দিনে গরম পোশাক বিশেষ করে পশমি বা উলের পোশাক পড়লে আমরা আরাম বোধ করি।
উদ্দীপকের শান্তর ডিসেম্বরের শীতের সকালে যে শার্ট পড়ে স্কুলে যাচ্ছিল, সেই একই শার্ট সে তিন মাস আগে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কিংবা অক্টোবরের গরমের দিনে পড়তো। ফলে এখন সে শীত শীত অনুভব করতে লাগলো। এমনকি সে একই ধরনের 2 টি শার্ট একসাথে পড়ার পরেও আরাম বোধ করল না।
অক্টোবর এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তাপমাত্রার যে পার্থক্য সে এটা না ভেবে পোশাক পড়েছিল। গরমের দিনে যে পোশাক পরা যায় শীতের দিনের সেই পোশাক পড়ে আমরা কখনও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারবোনা। যে কাজটি শান্ত করেছিল। সে একই রকম পোশাক গরম এবং শীতকালে ব্যবহার করেছিল।
ফলে শুধুমাত্র তাপমাত্রার পার্থক্য কারণে তার ভিন্ন ধরনের অনুভূতি হয়েছিল।
No comments
If you have any doubts. Please let me know..